AMADER KACHE JA JA PABE Online test, Short Notes, Mind map, Audio Explain

AIR INDIA PLANE CRASE
VIDEO EXPLAIN
https://www.flipkart.com/
নিচে পরিবেশের জন্য ভাবনা সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত নোটস দেওয়া হলো:
বায়ুমণ্ডল (Atmosphere): ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬০০ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত একটি অদৃশ্য গ্যাসীয় আবরণ যা পৃথিবীকে বলয়াকারে ঘিরে রেখেছে।
উচ্চতা ও উন্নতার ভিত্তিতে বায়ুমণ্ডলের স্তরসমূহ:
- ট্রোপোস্ফিয়ার (Troposphere):
- বিস্তৃতি: ভূপৃষ্ঠ থেকে ১২ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত।
- উয়তা: ১৫°C থেকে -৬০°C।
- স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার (Stratosphere):
- বিস্তৃতি: ১২-৪৫ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত।
- উয়তা: -৬০°C থেকে ০°C।
- মেসোস্ফিয়ার (Mesosphere):
- বিস্তৃতি: ৪৫-৮৫ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত।
- উয়তা: ০°C থেকে -১০০°C।
- থার্মোস্ফিয়ার (Thermosphere):
- বিস্তৃতি: ৮৫-৫০০ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত।
- উয়তা: -১০০°C থেকে ১২০০°C।
- এক্সোস্ফিয়ার (Exosphere):
- বিস্তৃতি: ৫০০-১০০০ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত।
- উয়তা: > ১২০০°C।
- ট্রোপোস্ফিয়ার (Troposphere):
রাসায়নিক গঠন অনুযায়ী বায়ুমণ্ডলের ভাগ:
- হোমোস্ফিয়ার বা সমমণ্ডল (Homosphere): এই ভাগে ট্রোপোস্ফিয়ার, স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার এবং মেসোস্ফিয়ার অন্তর্ভুক্ত।
- হেটেরোস্ফিয়ার বা বিষমমণ্ডল (Heterosphere): এই ভাগে থার্মোস্ফিয়ার এবং এক্সোস্ফিয়ার অন্তর্ভুক্ত।
বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তর সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- ট্রোপোস্ফিয়ার:
- এই স্তরের বায়ুতে ধূলিকণা, জলীয় বাষ্প, মেঘ প্রভৃতি উপস্থিত থাকে।
- এখানে ঝড়, বৃষ্টি, বজ্রপাত ইত্যাদি প্রাকৃতিক ঘটনা ঘটে।
- তাই একে ‘ক্ষুব্ধমণ্ডল’ বলা হয়।
- এই স্তর পৃথিবীপৃষ্ঠের উয়তা ও জলচক্র নিয়ন্ত্রণ করে।
- ট্রোপোস্ফিয়ারের ঘনত্ব বায়ুমণ্ডলের বাকি স্তরগুলির থেকে বেশি。
- স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার:
- এই স্তরে জলকণা, ধূলিকণা ইত্যাদি থাকে না।
- ফলে ঝড়, বৃষ্টি ইত্যাদি প্রাকৃতিক ঘটনা ঘটে না এবং এখানকার আবহাওয়া শান্ত থাকে।
- তাই একে ‘শান্তমণ্ডল’ বলা হয়।
- জেট বিমানগুলি নির্বিঘ্নে এই স্তরের মধ্য দিয়ে চলাচল করে।
- মেসোস্ফিয়ার:
- এটি বায়ুমণ্ডলের শীতলতম অঞ্চল।
- মহাকাশ থেকে আসা জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ডগুলি এই স্তরে এসে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
- থার্মোস্ফিয়ার:
- এর একটি অংশে গ্যাসের অণুগুলি আয়নিত অবস্থায় থাকে, যার নাম আয়নোস্ফিয়ার।
- মেরুজ্যোতি এই স্তরেই দেখা যায়।
- রেডিও তরঙ্গ এই অঞ্চলে প্রতিফলিত হয়, যা দূরপাল্লার যোগাযোগের জন্য অপরিহার্য।
- উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে তাপমাত্রা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পায়।
- এক্সোস্ফিয়ার:
- এটি বায়ুমণ্ডলের উন্নতম স্তর।
- এই অঞ্চলে প্রধানত হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস থাকে।
- কৃত্রিম উপগ্রহ ও মহাকাশ স্টেশনগুলি এখানে অবস্থান করে。
- ট্রোপোস্ফিয়ার:
গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা:
- পরিচলন স্রোত (Convection Current): তরল বা গ্যাসীয় পদার্থ উত্তপ্ত হলে তার আয়তন প্রসারণের জন্য ঘনত্ব হ্রাস পায়। ফলে উত্তপ্ত তরল বা গ্যাসীয় পদার্থ হালকা হয়ে উপরে ওঠে ও উপরের শীতল ভারী অংশ নীচে নেমে আসে। ফলস্বরূপ যে উল্লম্ব চক্রাকার স্রোতের সৃষ্টি হয় তাকে পরিচলন স্রোত বলে। এটি বায়ুমণ্ডলের তাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- বায়ুপ্রবাহ (Wind): উয়তার পার্থক্যের জন্য সংলগ্ন অঞ্চলে বায়ুচাপের তারতম্য ঘটে এবং তার ফলে উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলে বায়ু অনুভূমিকভাবে প্রবাহিত হয়। এই ঘটনাকে বায়ুপ্রবাহ বলা হয়।
বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপসমূহের সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিচে দেওয়া হলো:
বায়ুর ক্ষয়কার্য: বায়ুর ক্ষয়কার্যের প্রভাব সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা যায় শুষ্ক মরু অঞ্চলে। এই অঞ্চলে বায়ু প্রধানত তিনটি পদ্ধতিতে ক্ষয়কার্য করে: ১. অবঘর্ষ (Abrasion), ২. অপসারণ (Deflation) এবং ৩. ঘর্ষণ (Attrition)।
১. অবঘর্ষের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ:
গৌর (Gour):
- ধারণা ও উৎপত্তি: মরু অঞ্চলে বাতাসের অবঘর্ষের কারণে বৃহদাকৃতির শিলাখণ্ডের নিচের অংশ বেশি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, কিন্তু উপরের অংশ কম ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। বিশেষ করে, যদি কঠিন শিলাস্তরের উপরে কোমল শিলাস্তর থাকে এবং কোমল শিলা নিচের দিকে থাকে, তাহলে নিচের অংশটি বেশি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সমগ্র শিলাখণ্ডটি ব্যাঙের ছাতার মতো আকৃতিবিশিষ্ট হয়ে যায়। একে গৌর বা গারা বা ব্যাঙের ছাতার মতো শিলাস্তূপ বলা হয়।
- বৈশিষ্ট্য: এগুলি দেখতে ব্যাঙের ছাতার মতো হওয়ায় এদের ‘মাশরুম রক’ (Mush-room Rock) বলা হয়। মরুভূমির মাঝে অবশিষ্ট টিলার মতো দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
- উদাহরণ: সাহারা মরুভূমিতে গৌর আকৃতির অনেক শিলাস্তূপ দেখা যায়।
জিউগেন (Zeugen):
- ধারণা ও উৎপত্তি: মরুভূমির যেসব স্থানে আড়াআড়িভাবে বা অনুভূমিকভাবে উপরের স্তরে ফাটলযুক্ত কঠিন শিলা এবং নিচের স্তরে কোমল শিলা থাকে, সেখানে বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে কোমল শিলাস্তর ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে খাতের আকার ধারণ করে। অন্যদিকে, কঠিন শিলাগঠিত অংশ কম ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ায় চ্যাপটা ও সমতল শীর্ষদেশবিশিষ্ট পরস্পর সমান্তরাল টিলার আকারে অবস্থান করে। এইভাবে দুটি খাতের মধ্যে চ্যাপটা শীর্ষদেশবিশিষ্ট টিলার ন্যায় ভূমিরূপকে জিউগেন বলা হয়।
- বৈশিষ্ট্য: জিউগেন ৩-৩০ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। এদের উপরিভাগ চ্যাপটা ও সমতল হয়।
- উদাহরণ: আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সোনোরান মরু অঞ্চলে এই ভূমিরূপ দেখা যায়।
ইয়ারদাং (Yardang):
- ধারণা ও উৎপত্তি: কঠিন ও কোমল শিলাস্তর ভূপৃষ্ঠে পাশাপাশি উল্লম্বভাবে অবস্থান করলে বায়ুর অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় কোমল শিলাস্তরগুলি তাড়াতাড়ি ক্ষয়ে যায়। এর ফলে কঠিন শিলাস্তরগুলি পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে বিচিত্র আকৃতির শৈলশিরার মতো খাড়াভাবে দাঁড়িয়ে থাকে, এদের ইয়ারদাং বলা হয়।
- বৈশিষ্ট্য: ইয়ারদাঙের গড় উচ্চতা ৬ মিটার হয়। এদের প্রস্থ ৪-৪০ মিটার পর্যন্ত হয়। ইয়ারদাংকে দেখতে মোরগের ঝুঁটির মতো হয় বলে একে ‘কক’স কম্ব রিজ’ (Cock’s Comb Ridge) বলে। এদের শীর্ষদেশ সূচালো হয়।
- উদাহরণ: সৌদি আরবের মরু অঞ্চলে এই ধরনের ভূমিরূপ দেখা যায়।
ইনসেলবার্জ (Inselberg):
- ধারণা ও উৎপত্তি: বায়ুপ্রবাহের ক্ষয়কাজের ফলে যখন সমগ্র মরু অঞ্চলের সাধারণ উচ্চতা কমে গিয়ে প্রায় সমপ্রায়ভূমিতে পরিণত হয়, তখন তার মধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে কঠিন শিলায় গঠিত অংশগুলি কোনোক্রমে ক্ষয়কার্য প্রতিরোধ করে অনুচ্চ ও পরস্পর সমান উচ্চতাবিশিষ্ট টিলার আকারে দাঁড়িয়ে থাকে। এই ধরনের ক্ষয়জাত পাহাড় বা টিলাকে ইনসেলবার্জ বলা হয়।
- বৈশিষ্ট্য: ইনসেলবার্জ সাধারণত আগ্নেয় ও রূপান্তরিত শিলায় (যেমন গ্র্যানাইট, নিস) গঠিত হয়। এগুলির উচ্চতা সাধারণত ৩০-৩০০ মিটার হয়।
- উদাহরণ: দক্ষিণ আফ্রিকার কালাহারি মরু অঞ্চলে এবং অস্ট্রেলিয়ার মরুভূমিতে অনেক ইনসেলবার্জ দেখা যায়।
২. অপসারণের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ:
- অপসারণ গর্ত (Deflation Hollow):
- ধারণা ও উৎপত্তি: প্রবল বায়ুপ্রবাহ মরুভূমির বালিকে এক জায়গা থেকে আর-এক জায়গায় উড়িয়ে নিয়ে যায়। এর ফলে কখনো-কখনো বিশাল এলাকাজুড়ে বালি অপসারিত হয়ে অবনত স্থান বা খাদ বা গর্ত সৃষ্টি হয়। এরই নাম অপসারণ গর্ত বা ব্লো-আউট (Blow-out)।
- উদাহরণ: মিশরের কাতারা অবনত ভূমি পৃথিবীর বৃহত্তম অপসারণ গর্ত। রাজস্থানের মরু অঞ্চলে এই ধরনের ছোটো-বড়ো বিভিন্ন আকৃতির গর্তকে স্থানীয় ভাষায় ধান্দ বলে। এ ছাড়াও আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে এই ধরনের গর্তকে বাফেলো গর্ত এবং মঙ্গোলিয়াতে প্যাংকিয়াং গর্ত বলা হয়।
৩. ঘর্ষণের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ:
- মিলেট সিড স্যান্ড (Millet Seed Sand):
- ধারণা ও উৎপত্তি: প্রবলবেগে প্রবাহিত বায়ুর সঙ্গে যেসব শিলাখণ্ড থাকে, সেগুলি পরস্পর ঠোকাঠুকি ও ঘর্ষণে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে ক্রমশ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হতে হতে শেষে বালুকণায় পরিণত হয়। বিভিন্ন প্রাকৃতিক শিলাচূর্ণ ও বালিকে একত্রে মিলেট সিড স্যান্ড বলে। এভাবে ঘর্ষণের মাধ্যমে মরু অঞ্চলে বালির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। বায়ুর ক্ষয়কার্যের শেষ পর্যায় হল এই বালিকণা।
- উদাহরণ: সাহারা মরুভূমিতে মিলেট সিড স্যান্ড দেখা যায়